বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকের কারণ জেনেটিক এবং হরমোন ভারসাম্যহীনতা। তাছাড়া এটি আবহাওয়া এবং ডায়েটের উপরও নির্ভর করে। এছাড়াও স্কিনকেয়ারের কিছু ভুল ত্বকের তৈলাক্ততা বাড়ায়।
কীভাবে বুঝবেন আপনার ত্বক তৈলাক্ত
সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনার মুখে হাত দিয়ে দেখুন। যদি পুরো মুখ তৈলাক্ত লাগে তবে বুঝতে হবে আপনার ত্বকের ধরন তৈলাক্ত। তৈলাক্ত ত্বক বোঝার এটাই সেরা উপায়।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে কোন প্রোডাক্ট তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো হবে?
১. হায়ালুরোনিকএসিড – হায়ালুরনিক এসিড ত্বকের গভীর থেকে কাজ করে এবং প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা লক করে। এটি ত্বকের অসামঞ্জস্য বর্ণ, ফাইন লাইনস এর বিরুদ্ধেও কাজ করে।
২. গ্রিন টি – গ্রিন টিতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস এবং পলিফেমাস যা ব্রণ এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুব ভাল কাজ করে। তাছাড়া গ্রিন টি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমাতে এবং হরমোনজনিত ব্রণ কমাতে খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
৩. স্যালিসিলিক এসিড – স্যালিসিলিক এসিড ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। এটি ত্বকের ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস সরিয়ে ছিদ্রগুলি পরিষ্কার রাখে। ত্বকের সিবাম নিয়ন্ত্রণ করে এবং অতিরিক্ত তেলের উৎপাদন কমায়।
৪. টি ট্রি অয়েল – এটি একটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া এবং প্রাকৃতিক অ্যান্টি-সেপটিক যা ত্বকের ক্ষত, ব্রণ এবং ছত্রাকের সংক্রমণ কমাতে সহায়তা করে।
৫. গ্লাইকলিক এসিড – গ্লাইকোলিক এসিড অতিরিক্ত তেল কমাতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। এটি ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হতে বাধা দেয় এবং ব্রেকআউট থেকে রক্ষা করে। তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিতে এটি বেশ ভাল কাজ করে।
৬. অ্যালোভেরা – অ্যালোভেরা খুব দ্রুত ত্বকের সাথে মিশে যায় এবং ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। এটিতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকায় এটি রেশ এবং ব্রণর প্রবণতা হ্রাস করতে অনেক সহায়তা করে। এটি ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শোষণ করে এবং ত্বকের ছিদ্রগুলি পরিষ্কার রাখে।
তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন কিভাবে করবেন?
১. ক্লিনজিং
২. এক্সফোলিয়েশন
৩. ফেস মাস্ক বা প্যাক
৪. টোনিং
৫. সিরাম এপ্লাই
৬. ময়েশ্চারাইজিং
৭. সান প্রোটেকশন
সবশেষে, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, তৈলাক্ত বা ফাস্ট ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং এখন থেকেই ত্বকের যত্ন শুরু করুন।