oily skin careCategoriesSinicare Blog

ত্বক তৈলাক্ত হবার কারণ এবং তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন…

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকের কারণ জেনেটিক এবং হরমোন ভারসাম্যহীনতা। তাছাড়া এটি আবহাওয়া এবং ডায়েটের উপরও নির্ভর করে। এছাড়াও স্কিনকেয়ারের কিছু ভুল ত্বকের তৈলাক্ততা বাড়ায়।

কীভাবে বুঝবেন আপনার ত্বক তৈলাক্ত

সকালে ঘুম থেকে উঠে আপনার মুখে হাত দিয়ে দেখুন। যদি পুরো মুখ তৈলাক্ত লাগে তবে বুঝতে হবে আপনার ত্বকের ধরন তৈলাক্ত। তৈলাক্ত ত্বক বোঝার এটাই সেরা উপায়।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে কোন প্রোডাক্ট তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভালো হবে?

১. হায়ালুরোনিকএসিড – হায়ালুরনিক এসিড ত্বকের গভীর থেকে কাজ করে এবং প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা লক করে। এটি ত্বকের অসামঞ্জস্য বর্ণ, ফাইন লাইনস এর বিরুদ্ধেও কাজ করে।

২. গ্রিন টি – গ্রিন টিতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস এবং পলিফেমাস যা ব্রণ এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুব ভাল কাজ করে। তাছাড়া গ্রিন টি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমাতে এবং হরমোনজনিত ব্রণ কমাতে খুব কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

 ৩. স্যালিসিলিক এসিড – স্যালিসিলিক এসিড ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। এটি ত্বকের ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডস সরিয়ে ছিদ্রগুলি পরিষ্কার রাখে। ত্বকের সিবাম নিয়ন্ত্রণ করে এবং অতিরিক্ত তেলের উৎপাদন কমায়।

৪. টি ট্রি অয়েল – এটি একটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া এবং প্রাকৃতিক অ্যান্টি-সেপটিক যা ত্বকের ক্ষত, ব্রণ এবং ছত্রাকের সংক্রমণ কমাতে সহায়তা করে।

৫. গ্লাইকলিক এসিড – গ্লাইকোলিক এসিড অতিরিক্ত তেল কমাতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। এটি ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হতে বাধা দেয় এবং ব্রেকআউট থেকে রক্ষা করে। তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিতে এটি বেশ ভাল কাজ করে।

৬. অ্যালোভেরা – অ্যালোভেরা খুব দ্রুত ত্বকের সাথে মিশে যায় এবং ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। এটিতে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকায় এটি রেশ এবং ব্রণর প্রবণতা হ্রাস করতে অনেক সহায়তা করে। এটি ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শোষণ করে এবং ত্বকের ছিদ্রগুলি পরিষ্কার রাখে।

তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন কিভাবে করবেন?

১. ক্লিনজিং

২. এক্সফোলিয়েশন

৩. ফেস মাস্ক বা প্যাক

৪. টোনিং

৫. সিরাম এপ্লাই

৬. ময়েশ্চারাইজিং

৭. সান প্রোটেকশন

 

সবশেষে, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন, তৈলাক্ত বা ফাস্ট ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন এবং এখন থেকেই ত্বকের যত্ন শুরু করুন।

Why should you use eye serumCategoriesSinicare Blog

আই সিরাম বা চোখের সিরাম কেন ব্যবহার করা প্রয়োজন এবং এর উপকারিতা…

আমাদের চোখের চারপাশের ত্বক খুব নরম হয়, তাই চোখের চারপাশের ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ প্রথমে পড়ে। চোখের চারপাশের ত্বক যাতে সুস্থ থাকে সেদিকে খেয়াল রাখা খুবই জরুরি এবং নিয়মিত চোখের যত্ন নেওয়া উচিত। তাছাড়া চোখের ডার্ক সার্কেল নিয়ে আমরা সবাই কম বেশি চিন্তিত থাকি। ঘুম না হওয়া, টিভি বা কম্পিউটার স্ক্রিনের খুব কাছ থেকে দেখা, মানসিক চাপ, ডিপ্রেশন সহ নানারকম কারণে আমাদের চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল পড়ে যায়। তাই চোখের যত্নে ভাল একটি সিরামের কোন তুলনা হয় না।

চোখের সিরাম ব্যবহারের বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছেঃ

১. এটি চোখের ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করে।

২.  ফাইন লাইনস কমায়।

৩.  চোখের ফোলাভাব দূর করে।

৪.  চোখের বলিরেখা দূর করে।

৫.  চোখের চারপাশের ত্বক ব্রাইট করতে সহায়তা করে।

water based jellCategoriesSinicare Blog

ওয়াটার বেসড জেল ময়েশ্চারাইজার এবং এর কার্যকারীতা…

জেল ময়েশ্চারাইজার সাধারণত ওয়াটার বেসড এবং তেল মুক্ত থাকে, যা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বিশেষত উপকারী। সমীক্ষা অনুসারে, ট্র্যাডিশনাল ময়েশ্চারাইজার গুলো ত্বকের উপরের পৃষ্ঠে বাধা তৈরি করে যা আর্দ্রতা আটকে দেয়। জেল ময়েশ্চারাইজার গুলো এটি কিছুটা করে, তবে বেশিরভাগ গুলো এমন নির্দিষ্ট উপাদানগুলি ছাড়া প্রস্তুত করা হয়েছে যা ত্বকের গভীর স্তর থেকে জলকে আকর্ষণ করে এবং এটি ত্বকের পৃষ্ঠে নিয়ে আসে। 

জেল ময়েশ্চারাইজারের চারটি প্রধান সুবিধা রয়েছে:

১. এটি লাইট ওয়েট।

২. স্কিনে দ্রুত absorb হয়।

৩. একদমই চিটচিটে হয়।

৪. স্কিনকে হাইড্রেট রাখে।

কাদের জেল ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত?

জেল ময়শ্চারাইজার প্রায় সব ধরনের ত্বকের জন্য কার্যকরী। তবে  acne-prone বা oily skin-এ এ্রটি বেশী ভালো কাজ করে।

CategoriesSinicare Blog

রোজহিপ অয়েল কি এবং যেভাবে ব্যবহার করবেন…

রোজহিপ অয়েল এক ধরণের প্রেসড সিড অয়েল যা বুনো গোলাপ গুল্ম থেকে বের করা হয়। এটিতে বিটা ক্যারোটিনের পাশাপাশি লিনোলিক এবং ওলিক এসিড থাকে।

রোজহিপ অয়েল অনেকগুলো স্কিন কেয়ার বেনিফিট সরবরাহ করে যার মধ্যে প্রধান কিছু হচ্ছে-

১. বয়সের ছাপ পড়ার বিরুদ্ধে ফাইট করে।

২. স্কিন হাইড্রেট রাখে।

৩. স্কিন ব্রাইট করে।

৪. দাগ কমাতে সাহায্য করে।

৫. এটি একটি অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রোডাক্ট।

৬. একনের বিরুদ্ধে ফাইট করে।

৭. কোলাজেন প্রোডাকশন বুস্ট করে

৮. সান ডেমেজের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়।

৯. ত্বকের হাইপারপিগমেন্টেশন কমাতে সহায়তা করে।

রোজহিপ অয়েল কিভাবে ব্যবহার করবেন?

রোজহিপ অয়েল একটি ড্রাই অয়েল যা সহজেই ত্বকে শোষিত হয়। যদিও এটি সব ধরণের ত্বকের জন্য নিরাপদ, তবুও প্রথম ব্যবহারের আগে আপনার প্যাচ পরীক্ষা করে নেয়া উচিত। এটি নিশ্চিত করবে যে আপনি এই তেলে অ্যালার্জিক কিনা। একবার আপনি প্যাচ পরীক্ষা করে নিলে, আপনি প্রতিদিন দুইবার পর্যন্ত রোজহিপ অয়েল প্রয়োগ করতে পারবেন। তেলটি সরাসরি ব্যবহার করা যাবে, অথবা আপনি অন্য কোনো তেল বা আপনার প্রিয় ময়েশ্চারাইজারে কয়েক ফোঁটা যুক্ত করে ব্যবহার করতে পারেন।

Useful of hyaluronic acidCategoriesSinicare Blog

হায়ালুরোনিক এসিড কী এবং কিভাবে এটি স্কিনের জন্য প্রয়োজন…

হায়ালুরোনিক এসিড একটি চিনির অণু যা প্রাকৃতিকভাবে আমাদের ত্বকে তৈরি হয় এবং আমাদের ত্বককে হাইড্রেটেড, ময়েশ্চারাইজড এবং প্লাম্প রাখতে সহায়তা করে।

হায়ালুরোনিক এসিড কেন ব্যবহার করা উচিত?

ত্বকের ধরন ও কোমলতা আমাদের ত্বকের আর্দ্রতার উপর নির্ভর করে। সময়ের সাথে সাথে আমাদের ত্বকের হায়ালুরোনিক এসিড হ্রাস পায়। ত্বকে হায়ালুরোনিক এসিড হ্রাস হওয়া মানে ত্বকে জলের পরিমাণ, অর্থাৎ আর্দ্রতা হ্রাস। ত্বকের পানি কমে গেলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। এতে চোখের নিচে কুঁচকানো, সূক্ষ্ম রেখা এবং বলিরেখার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর সাথে ত্বক রুক্ষ ও নিস্তেজ হয়ে যায়।

হায়ালুরোনিক এসিডযুক্ত পণ্যগুলি ত্বককে সতেজ ও স্বাস্থ্যকর রাখতে ব্যবহার করা হয়। হায়ালুরোনিক এসিড ত্বকে হাইড্রেশন সরবরাহ করে, ত্বককে সুন্দর ও হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে।

কোন ধরনের ত্বকের জন্য হায়ালুরোনিক এসিড ভাল?

হায়ালুরোনিক এসিড রুক্ষ ত্বকের জন্য আশীর্বাদ। এটি রুক্ষ ও নিস্তেজ ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে প্রচুর অবদান রাখে। তাছাড়া ত্বকে ব্রণ, রেশ বা কোনও ধরণের ইরিটেশন থাকলে হায়ালুরোনিক এসিড সেই জায়গাগুলোতে খুব ভাল কাজ করে।

হায়ালুরোনিক এসিড ত্বকের জন্য কী কাজ করে?

১ ত্বকের হাইড্রেশনে সাহায্য করে।

২ ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে।

৩ ত্বক গভীর থেকে মেরামত করে। 

৪ পিগমেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে।

৫ পোরস টাইট করতে সাহায্য করে।

৬ কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়।

৭ বলিরেখা এবং ফাইন লাইনস কমাতে সহায়তা করে।

৮ ত্বক মসৃণ করতে সহায়তা করে।

হায়ালুরোনিক এসিড সম্পর্কে ভুল ধারণা

অনেকেই ভাবেন যে তৈলাক্ত ত্বক আলাদাভাবে হাইড্রেট করার দরকার নেই। তবে এটি সম্পূর্ণ ভুল। আসলে, তৈলাক্ত ত্বক হাইড্রেশন হ্রাস করে এবং ত্বকের হাইড্রেশন হ্রাস করতে অতিরিক্ত তেল উৎপন্ন করে। সুতরাং যে কোনও হায়ালুরোনিক এসিড যুক্ত পণ্য তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সেরা সমাধান হতে পারে।

কখন ব্যবহার করবেন?

প্রতিদিনের ত্বকের যত্নে হায়ালুরোনিক এসিড ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি এটি দিন বা রাতে যে কোনও সময় ব্যবহার করতে পারেন। তবে বাইরে বেরোনোর সময় অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।